Redox Viva

১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্টের নির্বাচন

প্রশ্ন  : ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর পাকিস্তানে সর্বপ্রথম প্রাদেশিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় কতসালে?

উত্তর: ১৯৫৪ সালে।

প্রশ্ন  : কোন আইনের অধীনে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়?

উত্তর: ১৯৩৫ সালের ভারত শাসন আইনের নির্বাচন বিধি সংশোধন করে পাকিস্তান গণপরিষদ ১৯৫২ সালের এপ্রিল মাসে নতুন নির্বাচন বিধি প্রণয়ন করে যার অধীনে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

প্রশ্ন  : নতুন নির্বাচন বিধির গুরুত্বপূর্ণ দিক বলুন?

উত্তর: ২১ বছর বয়স্ক সকল নাগরিক ভোট দিতে পারবেন এবং মুসলিম নাগরিকদের জন্য আসন সংরক্ষিত থাকবে ইত্যাদি।

প্রশ্ন  : কত তারিখে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল?

উত্তর: ১৯৫৪ সালের ৮-১২ মার্চ ( ৫ দিন ব্যাপী)।

প্রশ্ন  : এ নির্বাচনে কতটি দল অংশগ্রহণ করেছিল?

উত্তর: ১৬ টি।

প্রশ্ন  : ১৬ টি দলের মধ্যে প্রধান ২টি দল ছিল। দল দুটির নাম কী?

উত্তর: মুসলিম লীগ ও আওয়ামী মুসলিম লীগের নেতৃত্বে যুক্তফ্রন্ট।

প্রশ্ন  : যুক্তফ্রন্ট কী?

উত্তর: যুক্তফ্রন্ট হচ্ছে ১৯৫৪ সালের প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন মুসলিম লীগের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য কয়েকটি বিরোধী দলের সমন্বয়ে গড়ে ওঠা রাজনৈতিক জোট।

প্রশ্ন  : যুক্তফ্রন্টের ৪টি দল ও সভাপতির নাম বলুন?

উত্তর: ক) আওয়ামী মুসলিম লীগ ( সভাপতি মাওলানা ভাসানী)
খ) কৃষক-শ্রমিক পার্টি ( সভাপতি- এ.কে.ফজলুল হক)
গ) নেজামে ইসলাম (সভাপতি – মাওলানা আহাহার আলী)
ঘ) বামপন্থী গণতন্ত্রী দল (সভাপতি-হাজী দানেশ)

প্রশ্ন  : কার নেতৃত্বে যুক্তফ্রন্ট গঠিত হয়?

উত্তর: শেরে বাংলা এ.কে.ফজলুল হকের নেতৃত্বে যুক্তফ্রন্ট গঠিত হয়।

প্রশ্ন  : যুক্তফ্রন্ট গঠনে মাওলানা ভাসানী ও শেখ মুজিবুর রহমানের অবস্থান কী ছিল?

উত্তর: মাওলানা ভাসানী ও শেখ মুজিবুর রহমান প্রথমে যুক্তফ্রন্ট গঠনের পক্ষে ছিলেন না। কিন্তু ছাত্রসমাজের চাপে বিরোধী দলগুলো একত্র হয়ে যুক্তফ্রন্ট গঠন করে এবং আওয়ামীলীগের উদ্যোগেই যুক্তফ্রন্ট গঠিত হয়।

প্রশ্ন  : যুক্তফ্রন্ট শেরে বাংলা এ.কে.ফজলুল হক ও হোসেন শহিদ সোহরাওয়ার্দীর অবস্থান কী ছিল?

উত্তর: ক) যুক্তফ্রন্টের সভাপতি- হোসেন শহিন সোহরাওয়ার্দী
খ) সংসদীয় দলের নেতা-শেরে বাংলা এ.কে. ফজলুল হক।

প্রশ্ন  : যুক্তফ্রন্ট কেন গঠিত হয়েছিল?

উত্তর: ১৯৫৪ সালে মুসলিম লীগ সরকারের নির্বাচনের ঘোষণাকে পূর্ববাংলার জনগোষ্ঠী মুসলিম লীগের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করে। নির্বাচন যুদ্ধে ক্ষমতাসীন দলের বিরুদ্ধে জয় লাভ কঠিন বিবেচনা করে বিরোধী দলগুলো ঐক্যবদ্ধ হওয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে, যার প্রেক্ষিতে যুক্তফ্রন্ট গঠিত হয়েছিল।

প্রশ্ন  : যুক্তফ্রন্টের মূল লক্ষ্য কী ছিল?

উত্তর: ১৯৪০ সালের লাহোর প্রস্তাব অনুযায়ী পূর্ববাংলার প্রাদেশিক পূর্ব স্বায়ত্তশাসন।

প্রশ্ন  : কোন দল যুক্তফ্রন্টকে সমর্থন করলেও যুক্তফ্রন্টের দলে ছিল না?

উত্তর: আবুল হাশিমের খেলাফতে রব্বানি পার্টি।

প্রশ্ন  : যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনী প্রতীক কী ছিল?

উত্তর: নৌকা।

প্রশ্ন  : মুসলিম লীগের নির্বাচনী প্রতীক কী ছিল?

উত্তর: হারিকেন।

প্রশ্ন  : নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের ইশতেহার কী ছিল?

উত্তর: ২১ দফা। আওয়ামীলীগের নির্বাচনী কর্মসূচির ৪২ দফার প্রধান প্রধান দাবি নিয়ে যুক্তফ্রন্টের ২১ দফা নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করা হয়।

প্রশ্ন  : ২১ দফা কর্মসূচির রচয়িতা কে ছিলেন?

উত্তর: তৎকালীন আওয়ামী লগের সহ-সভাপতি আবুল মনসুর আহমদ।

প্রশ্ন  : কখন ২১ দফা প্রকাশিত হয়?

উত্তর: ১৯৫৩ সালের ৫ ডিসেম্বর।

প্রশ্ন  : যুক্তফ্রন্টের নেতাগণ কেন তাদের নির্বাচনী ইশতেহারকে ২১ টি দফায় প্রকাশ করেন?

উত্তর: যুক্তফ্রন্টের নেতাগণ ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের ২১ ফেব্রুয়ারির ভাষা শহিদদের স্মৃতিকে অম্লান করে রাখার জন্য শ্রদ্ধাভরে তাদের নির্বাচনী ইশতেহারকে ২১টি দফায় প্রকাশ করেন।

প্রশ্ন  : ২১  দফার প্রথম দফাটি কী ছিল?

উত্তর: বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করা হবে।

প্রশ্ন  : ২১ দফার মধ্যে ভাষা সংক্রান্ত দফা ছিল কতটি?

উত্তর: ৫টি। যথা: ১, ১০, ১৬, ১৭ ও ১৮ নং দফা।

প্রশ্ন  : গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি দফা সম্পর্কে বলুন?

উত্তর: ১ নং দফা: বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করা হবে।
১৫ নং দফা: বিচার বিভাগকে শাসন বিভাগ থেকে পৃথক করা হবে।
১৭ নং দফা: ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের শহিদদের স্মরণে শহিদ মিনার নির্মাণ করা হবে।
১৮ নং দফা: ২১ ফেব্রুয়ারিকে শহিদ দিবস ও সরকারি ছুটির দিন ঘোষণা করা হবে।
১৯ নং দফা: ১৯৪০ সালের লাহোর প্রস্তাব অনুযায়ী পূর্ব বাংলাকে ‍পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন প্রদান করা হবে।

প্রশ্ন  : যুক্তফ্রন্টের ২১ দফার বিপরীতে ক্ষমতাসীন মুসলিম লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে কী কী বিষয় ছিল?

উত্তর: ক) প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কুরআন শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা।
খ) মসজিদকে কেন্দ্র করে ধর্মীয় শিক্ষাদান।
গ) কুরআন-সুন্নাহভিত্তিক শাসনতন্ত্র প্রণয়ণ।
ঘ) ব্যক্তি স্বাধীনতা রক্ষা ও
ঙ) সংখ্যালঘু সমস্যার সমাধান ইত্যাদি।

প্রশ্ন  : ১৯৫৪ সালের প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনের আসন বিন্যাস কেমন ছিল?

উত্তর: এই নির্বাচনে পূর্ব বাংলা আইন পরিষদের মোট আসনসংখ্যা ছিল ৩০৯ টি। এদের মধ্যে মুসলিমদের জন্য ছিল ২৩৭ টি আসন ও অমুসলিমদের জন্য ছিল ৭২ টি আসন।

প্রশ্ন  : মহিলাদের জন্য কতটি সংরক্ষিত আসন ছিল?

উত্তর: মুসলিম মহিলাদের জন্য ৯ টি আসন ও অন্যান্য ধর্মের মহিলাদের জন্য ৬ টি আসন অর্থাৎ মোট ১৫ টি আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত ছিল।

প্রশ্ন  : কত তারিখে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়?

উত্তর: ১৯৫৪ সালের ১৫ মার্চ থেকে ফলাফল ঘোষণা শুরু হলেও সরকারি ভাবে ২ এপ্রিল নির্বাচনের ফলাফল ঘোষিত হয়।

প্রশ্ন  : নির্বাচনে কোন দল বিজয় লাভ করে?

উত্তর: যুক্তফ্রন্ট ২৩৭ টি মুসলিম আসনের মধ্যে ২২৩ টি এবং ৭২ টি অমুসলিম আসনের মধ্যে ১৩  অর্থাৎ মোট ১৩৬ টি জয় লাভ করে।

প্রশ্ন  : মুসলিম লীগ কতটি আসনে জয়ী হয়?

উত্তর: মুসলিম লীগ মাত্র ৯ টি আসনে জয়ী হয়।

প্রশ্ন  : যুক্তফ্রন্টের নিরঙ্কুশবিজয়ের কারণ কী ছিল?

উত্তর: ১৯৫৪ সালের পূর্ব বাংলার প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের নিরঙ্কুশ বিজয়ের কারণগুলো ছিল নিম্নরূপ:
ক) যুক্তফ্রন্টের নেতাদের জনপ্রিয়তা
খ) ২১ ফেব্রুয়ারির বিয়োগান্তক ঘটনা।
গ) মুসলিম লীগের অভ্যন্তরীন আদর্শগতি দ্বন্দ্ব ও
ঘ) মুসলিম লীগের স্বার্থন্বেষী মনোভাব ইত্যাদি।

প্রশ্ন  : এ নির্বাচনে শেখ মুজিবুর রহমান কোথায় প্রার্থী হয়েছিলেন?

উত্তর: ১৩৬ নং ফরিদপুর-১৪ আসন (গোপালগঞ্জ) থেকে যুক্তফ্রন্টের প্রার্থী হয়ে মুসলিম লীগের প্রার্থী ওয়াহিদুজ্জামানকে দশ হাজার ভোটে পরাজিত করেন।

প্রশ্ন  : ১৯৫৪ সালে গোপালগঞ্জ নির্বাচন সম্পর্কে শেখ মুজিবুর রহমান কী মন্তব্য করেছিলেন?

উত্তর: গোপালগঞ্জ নির্বাচন সম্পর্কে শেখ মুজিবুর রহমান বলেন, “ নির্বাচনে দেখা গেল ওয়াহিদুজ্জামান সাহেব প্রায় দশ হাজার ভোটে পরাজিত হয়েছেন। জনসাধারণ আমাকে শুধু ভোটই দেয় নাই, প্রায় পাঁচ হাজার টাকা নজরানা হিসেবে দিয়েছিল নির্বাচনে খরচ চালানো জন্য। আমার ধারণা হয়েছিল, মানুষকে ভালোবাসলে মানুষও ভালোবাসে। যদি সামান্য ত্যাগ স্বীকার করেন, তবে জনসাধারণ আপনার জন্য জীবন দিতেও পারে।”

প্রশ্ন  : কে, কখন যুক্তফ্রন্টের মন্ত্রিসবা গঠন করেন?

উত্তর: ১৯৫৪ সালেও ৩ এপ্রিল  যুক্তফ্রন্টভুক্ত কৃষক শ্রমিক পার্টির নেতা এ.কে.ফজলুল হক চার (৪) সদস্য বিশিষ্ট মন্ত্রিসভা গঠন করেন।

প্রশ্ন  : চারজন্য সদস্য কেকে ছিলেন?

উত্তর: ক) এ.কে.ফজলুল হক – মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়াও অর্থ, রাজস্ব ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
খ) আবু হোসেন সরকার – বিচার, স্বাস্থ্য ও স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
গ) সৈয়দ আজিজুল হক (নান্না মিয়অ) – শিক্ষা, বাণিজ্য শ্রম ও শিল্পমন্ত্রী।
ঘ) আশরাফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী – বেসামরিক সরবরাহ ও যোগাযোগ মন্ত্রী।

প্রশ্ন  : কেন এবং কখন যুক্তফ্রন্টের সম্প্রসারিত মন্ত্রিসভা গঠিত হয়?

উত্তর: নির্বাচনে মোট ৩০৯ টি আসনের মধ্যে সংরক্ষিত আসনসহ যুক্তফ্রন্ট মোট জয় লাভ করে ২৩৬ টি আসনে যেখানে শুধু আওয়ামী মুসলিম লীগ জয় লাভ করে ১৪৩টি আসনে। কিন্তু ৩ এপ্রিল ১৯৫৪ সালে শেরে বাংলা এ.কে.ফজলুল হকের নেতৃত্বে চার সদস্যের মন্ত্রিসভা গঠিত হলে সেখানে আওয়ামী মুসলিম লীগের কোন নেতাকে রাখা হয় না। কৃষক শ্রমিক পার্টির তিন জন ও নেজামে ইসলামে একজন সদস্য নিয়ে মন্ত্রিসভা গঠিত হয়। ফলে মন্ত্রিসভা গঠন নিয়ে আওয়ামী মুসলিম লীগ ও যুক্তফ্রন্টের অন্যান্য শরীক দলগুলোর সাথে এ.কে.ফজলুল হকের মতানৈক্য সৃষ্টি হয়। অবশেষে যুক্তফ্রন্টের মূল দল আওয়ামী মুসলিম লীগের ৭ জন এবং কৃষক শ্রমিক পার্টির আরো ৩ জন সদস্য নিয়ে ১৫ মে ১৪ সদস্য বিশিষ্ট মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়।

প্রশ্ন  : কত তারিখে সম্প্রসারিত মন্ত্রিসভা শপথ গ্রহণ করেন?

উত্তর: ১৯৫৪ সালের ১৫ মেঅ

প্রশ্ন  : যুক্তফ্রন্টের সম্প্রসারিত মন্ত্রিসভায় শেখ মুজিবুর রহমান কোন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন?

উত্তর: কৃষি, সমবায় ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রণালয়।

প্রশ্ন  : মন্ত্রিসভায় সর্বকনিষ্ঠ মন্ত্রী কে ছিলেন?

উত্তর: শেখ মুজিবুর রহমান

প্রশ্ন  : যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রিসভায় কিছু উল্লেখযোগ্য কর্মকান্ড কী ছিল?

উত্তর: ক) ২১ শে ফেব্রুয়ারিকে সরকারি ছুটি ঘোষণা ও ”শহিদ দিবস” ঘোষণা।
খ) বর্ধমান হাউসকে ‘বাংলা হাউসকে ‘বাংলা একাডেমি’ করার প্রস্তাব গ্রহণ ও অনুমোদন ইত্যাদি।

প্রশ্ন  : ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রিসভা কত দিন স্থায়ী ছিল?

উত্তর: মাত্র ৫৬ দিন।

প্রশ্ন  : কখন এ মন্ত্রিসভা ভেঙ্গে দেওয়া হয়?

উত্তর: ৩০ মে, ১৯৫৪ সালে ভারত শাসন আইনের ৯২(ক) ধারা বলে পাকিস্তানের গর্ভনর জেনারেল গোলাম মোহাম্মদ যুক্তফ্রন্টের মন্ত্রিসভা বিলুপ্ত ঘোষণা করেন।

প্রশ্ন  : কোন অভিযোগে মন্ত্রিসভা ভেঙ্গে দেওয়া হয়?

উত্তর: ক) আদমজী জুট মিলে বাঙালি ও অবাঙালিদের মধ্যে সংঘর্ষ। সংঘর্ষে প্রায় ১৫০০ শ্রমিক নিহত হয় যার দায় চাপানো হয় নতুন মন্ত্রিসভার উপর।
খ) কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে কারা কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় জনগণের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। একে সরকারের দুর্বলতা হিসেবে দেখানো হয়।
গ) এ.কে.ফজলুল হকের বিরুদ্ধে মিথ্যা দেশদ্রোহিতার অভিযোগ আনা হয়।
উপর্যুক্ত অভিযোগগুলোর কারণে যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রিসভা ভেঙ্গে দেওয়া হয়।

প্র্রশ্ন  : এ.কে.ফজলুল হকের বিরুদ্ধে কী ধরনের অভিযোগ আনা হয়?

উত্তর: মন্ত্রিসভা গঠন করে এ.কে.ফজলুল হক পশ্চিম বাংলা সফরে যান।

প্রশ্ন  : আদমজী জুট মিলের সংঘর্ষ নিয়ে শেখ মুজিবুর রহমান কী মন্তব্য করেছিলেন?

উত্তর: শেখ মুজিবুর রহমান বলেন, ” আমাদের যখন মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়া শেষ হলো, ঠিক সেই সময় খবর এলো আদমজী জুট মিলে বাঙ্গালি ও অবাঙ্গালি শ্রমিকদের মধ্যে ভীষণ দাঙ্গা-হাঙ্গাম শুরু হয়েছে। আমরা যখন শপথ নিচ্ছি ঠিক সেই সময়ে দাঙ্গা শুরু হওয়ার কারণ কি বুঝতে বাকি রইল না। এ এক অশুভ লক্ষণ” (অসমাপ্ত আত্মজীবনী,পৃষ্ঠা-২৬৩)

প্রশ্ন  : যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রিসভা ভেঙ্গে যাওয়ার পরে কী হয়েছিল?

উত্তর: ৩০ মে, ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রিসভা বিলুপ্ত ঘোষণা করে “ গভর্নরের শাসন” চালু করেন। পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর হিসেবে নিযুক্ত হন মেজর জেনারেল ইস্কান্দার মীর্জা। তিনি ক্ষমতা গ্রহণ করেই এক ফজলুল হক, শেখ মুজিবুর রহমান সহ যুক্তফ্রন্টের অসংখ্য নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেন।

প্রশ্ন  : ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনের গুরুত্ব কী ছিল?

উত্তর: ক) বাঙ্গালি জাতীয়তাবাদের বিজয় ঘটে।
খ) পূর্ব বাংলার স্বায়ত্তশাসনের দাবি আরো সুদূঢ় হয়।
গ) মধ্যবিত্ত শ্রেণির প্রভাব পরিলক্ষিত হয়।
ঘ) মুসলিম লীগের শাসনের সমাপ্তি ঘটে ইত্যাদি।