ভাইভা বোর্ডে উপস্থাপন করতে হবে এমন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যেমন প্রবেশত্র, সনদের মূলকপি, পূরনকৃত ফর্ম ইত্যাদি গুছিয়ে পরীক্ষার আগের দিনই ফাইলে সুন্দরভাবে সাজিয়ে রাখুন
*** বিসিএস ভাইভার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র :
প্রার্থীর স্বাক্ষরযুক্ত এবং প্রথম শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তা কর্তৃক সত্যায়িত অনধিক ৩ (তিন) মাস পূর্বে তোলা ৩ (তিন) কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি BPSC Form-1 এর ওপরে বামপাশে স্ট্যাপলারের সাহায্যে সংযুক্ত করতে হবে
বয়স প্রমাণের জন্য শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক প্রদত্ত এস.এস.সি./সমমানের পরীক্ষার মূল/সাময়িক সনদের সত্যায়িত কপি। “ও-লেভেল” এবং “এ-লেভেল” উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে জন্ম তারিখ সংবলিত দালিলিক প্রমাণ। উল্লেখ্য, বয়স প্রমাণের জন্য এফিডেভিট গ্রহণযোগ্য হবে না
শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমাণস্বরূপ বোর্ড এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রদত্ত সকল মূল/সাময়িক সনদের সত্যায়িত ফটোকপি; চার বছর মেয়াদি স্নাতক/স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রিধারী প্রার্থীদের সনদ/মার্কশিট/টেস্টিমোনিয়ালে যদি ৪ বছর মেয়াদি স্নাতক/স্নাতক (সম্মান) উল্লেখ না থাকে তবে অর্জিত ডিগ্রি ৪ বছর মেয়াদি স্নাতক/স্নাতক (সম্মান) মর্মে বিভাগীয় প্রধান/পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক/রেজিস্টার কর্তৃক প্রদত্ত প্রত্যয়নপত্রের সত্যায়িত কপি আবেদনপত্রের সাথে অবশ্যই জমা দিতে হবে। অন্যথায়, তাদের অর্জিত ডিগ্রি ৩ বছর মেয়াদি হিসেবে বিবেচনা করা হবে
বিদেশ থেকে অর্জিত ডিগ্রিধারী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ৩০.১১.২০২১ তারিখে প্রকাশিত ৪৪তম বি.সি.এস. পরীক্ষার বিজ্ঞাপনের ১.২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট ইকুইভ্যালেন্স কমিটি/শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রদত্ত ইকুইভ্যালেন্স সনদের সত্যায়িত কপি
মেডিকেল (এম.বি.বি.এস.) ডিগ্রিধারী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে বি.এম.ডি.সি., পশুপালন (ডি.ডি.এম.) ডিগ্রিধারীদের ক্ষেত্রে ভেটেরিনারি কাউন্সিল এবং অন্যান্য বিষয়ে ডিগ্রিধারীদের ক্ষেত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয়/সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত রেজিস্ট্রেশন সনদের একটি সত্যায়িত ফটোকপি। আবেদনপত্রে বর্ণিত স্থায়ী ঠিকানার সাথে বি.এম.ডি.সি./ভেটেরিনারি কাউন্সিলের সনদে বর্ণিত ঠিকানায় পরিবর্তন হয়ে থাকলে জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) এর সত্যায়িত ফটোকপি বা সংশ্লিষ্ট সিটি কর্পোরেশন/পৌরসভার চেয়ারম্যান, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বা পৌরসভা/সিটি কর্পোরেশনের ওয়ার্ড কমিশনার, নোটারি পাবলিক অথবা প্রথম শ্রেণির (গ্রেড-৯) বা তদূর্ধ্ব সরকারি কর্মকর্তা কর্তৃক স্বাক্ষরিত প্রত্যয়নপত্র জমা দিতে হবে
যে সকল প্রার্থী অবতীর্ণ (Appeared) প্রার্থী হিসেবে শর্তসাপেক্ষে আবেদন করেছেন তাদের ক্ষেত্রে স্নাতক বা স্নাতকোত্তর পর্যায়ের সকল লিখিত পরীক্ষা ৪৪তম বি.সি.এস. পরীক্ষার আবেদনপত্র গ্রহণের শেষ তারিখের মধ্যে অর্থাৎ ৩১.০১.২০২২ তারিখের মধ্যে সম্পূর্ণরূপে শেষ হয়েছে মর্মে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগীয় চেয়ারম্যান বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান কর্তৃক প্রদত্ত পরীক্ষা শুরু ও শেষ হওয়ার তারিখ সংবলিত প্রত্যয়নপত্রের সত্যায়িত কপি। লিখিত পরীক্ষা শুরু ও শেষ হওয়ার তারিখবিহীন প্রত্যয়নপত্র গ্রহণযোগ্য হবে না
৪৪তম বি.সি.এস. পরীক্ষার বিজ্ঞাপনের ২৯.৩ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রার্থীর ওজন (কে.জি.), উচ্চতা (সে.মি.) ও বুকের মাপ (সে.মি.) সম্পর্কে বি.এম. ডি.সি. রেজিস্ট্রার্ড মেডিকেল প্র্যাকটিশনার কর্তৃক প্রদত্ত প্রত্যয়নপত্রের সত্যায়িত কপি। প্রত্যয়নপত্রে মেডিকেল প্র্যাকটিশনারের রেজিস্ট্রেশন নম্বর অবশ্যই উল্লেখ থাকতে হবে
বর্তমানে কোনো সরকারি/আধা সরকারি/স্বায়ত্তশাসিত/স্থানীয় সরকার সংস্থার চাকরিতে নিযুক্ত থাকলে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত ছাড়পত্রের (Clearance certificate) সত্যায়িত কপি
কোনো প্রার্থী সরকারি/আধা সরকারি/স্বায়ত্তশাসিত/স্থানীয় সরকার সংস্থায় চাকরি থেকে ইস্তফা দান করলে বা চাকরি থেকে অপসারিত হলে সংশ্লিষ্ট নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত ছাড়পত্র/গৃহীত ইস্তফাপত্র/অপসারণ আদেশের সত্যায়িত কপি
প্রার্থী ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়ভুক্ত হলে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের নিকট হতে প্রাপ্ত সনদের সত্যায়িত ফটোকপি। উল্লেখ্য, জেলা প্রশাসক ব্যতীত অন্য কোনো কর্মকর্তা কর্তৃক প্রদত্ত সনদ গ্রহণযোগ্য হবে না
প্রার্থী প্রতিবন্ধী হলে সমাজসেবা অধিদপ্তরের অধীন জেলা সমাজসেবা অফিসের উপপরিচালক/সমমর্যাদা সম্পন্ন/দায়িত্বপ্রাপ্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কর্তৃক প্রদত্ত প্রতিবন্ধী সনদের সত্যায়িত ফটোকপি
তৃতীয় লিঙ্গভুক্ত প্রার্থীদের ক্ষেত্রে সিভিল সার্জন কর্তৃক প্রদত্ত সনদের সত্যায়িত ফটোকপি
যে সকল প্রার্থীর জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) নম্বর রয়েছে সে সকল প্রার্থী NID এর সত্যায়িত কপি জমা দিবেন। যে সকল প্রার্থীর NID নম্বর নেই সে সকল প্রার্থী NID প্রাপ্তির পর কমিশনের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) বরাবর দরখাস্তসহ NID এর সত্যায়িত কপি জমা দিবেন। তবে NID না থাকার কারণে কোনো প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল হবে না; ৩.১৫ প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ মুক্তিযোদ্ধার পুত্র-কন্যা হলে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারীকৃত ২৬.০২.২০০২ তারিখের মুঃবিঃম/সনদ-১/প্র-১/২০০২/০২ নম্বর প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ইস্যুকৃত মুক্তিযোদ্ধা সনদপত্রের সত্যায়িত কপি অথবা ১৯৯৭ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তৎকালীন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রতিস্বাক্ষরিত এবং মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কর্তৃক ইস্যুকৃত পিতা/মাতার মুক্তিযোদ্ধা সনদপত্রের সত্যায়িত কপি
আবেদনকারী মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ মুক্তিযোদ্ধার পুত্র-কন্যা হলে সে মর্মে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান/সিটি কর্পোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও পৌরসভার মেয়র/কাউন্সিলর কর্তৃক প্রদত্ত সার্টিফিকেটের সত্যায়িত কপি। পিতা/মাতার মুক্তিযোদ্ধার সনদে বর্ণিত ঠিকানা অনলাইন আবেদনপত্রে বর্ণিত স্থায়ী ঠিকানা হতে ভিন্ন হলে মুক্তিযোদ্ধা সনদে বর্ণিত মুক্তিযুদ্ধকালীন ঠিকানার সপক্ষে এবং পরিবর্তিত স্থায়ী ঠিকানার সপক্ষে জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) এর সত্যায়িত ফটোকপি বা সংশ্লিষ্ট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র/ওয়ার্ড কমিশনার/পৌর চেয়ারম্যান/ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান/ নোটারি পাবলিক কর্তৃক স্বাক্ষরিত দু'টি ভিন্ন ভিন্ন প্রত্যয়নপত্র জমা দিতে হবে
স্থায়ী ঠিকানার সপক্ষে NID এর সত্যায়িত কপি, স্ব-স্ব সিটি কর্পোরেশনের মেয়র/ওয়ার্ড কমিশনার/পৌরসভার মেয়র/ কাউন্সিলর/ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান/নোটারি পাবলিক কর্তৃক স্বাক্ষরিত সনদপত্র জমা দিতে হবে
প্রাক্ চাকরি বৃত্তান্ত যাচাই ফরম (পুলিশ ভেরিফিকেশন ফরম) কমিশনের www.bpsc.gov.bd ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করে ফরমের সকল তথ্য পূরণ ও স্বাক্ষর করে সংশ্লিষ্ট কাগজপত্রসহ ফরমের ৩ (তিন) কপি মৌখিক পরীক্ষার দিন সংশ্লিষ্ট বোর্ডে দাখিল করতে হবে
ঠিকভাবে পুলিশ ভেরিফিকেশন ফর্ম পূরণ করুন।
*** ঠিকভাবে পুলিশ ভেরিফিকেশন ফর্ম পূরণের নির্দেশনা :
পুলিশ ভেরিফিকেশন ফরম পূরণের নির্দেশনা (Guidelines to Fill Up the Police Verification Form): বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের ওয়েবসাইট (www.bpsc.gov.bd) থেকে প্রাক চাকরি বৃত্তান্ত যাচাই ফরম (PV Form) ডাউনলোড দিয়ে প্রিন্ট করে নিন। অতঃপর সেটা পূরণ করা শুরু করুন।
প্রার্থীর পুরো নাম: বিপিএসসি ফরম-১ (Applicant's Copy) অথবা এস.এস.সি সার্টিফিকেট অনুসারে লিখুন।
জাতীয়তা: বাংলাদেশি লিখুন।
পিতার পুরো নাম এবং চাকরিতে থাকলে পদের নাম ও জাতীয়তা: বিপিএসসি ফরম-১ (Applicant's Copy) অথবা এস.এস.সি সার্টিফিকেট অনুসারে পিতার নাম লেখার পর কমা দিয়ে পিতা যে পদে যে অফিসে চাকরি করে সেটা লিখুন। শেষে পিতার জাতীয়তা লিখুন। পিতা চাকরিতে না থাকলে পদের নাম অংশটি প্রযোজ্য নয়।
স্থায়ী ঠিকানা: বিপিএসসি ফরম-১ (Applicant's Copy) এর সাথে মিল রেখে স্থায়ী ঠিকানা লিখুন।
বর্তমান বাসস্থানের ঠিকানা: আবেদনের সময় যে ঠিকানা দিয়েছিলেন, সেই ঠিকানাটাই দিতে পারেন অথবা বর্তমানে যেখানে বাস করেন, সেখানকার ঠিকানা লিখুন।
প্রার্থী যেসব স্থানে বিগত পাঁচ বছরে ছয় মাসের অধিক অবস্থান করেছেন সেই সব স্থানের ঠিকানা: আবেদনের সময় দেওয়া ঠিকানা ছাড় যদি পরবর্তী সময়ে পিএসসিতে দেওয়া কোনো ডকুমেন্টে অন্য ঠিকানা ব্যবহার না করে থাকেন, তাহলে সেই ঠিকানাটাতে কত তারিখ থেকে কত তারিখ পর্যন্ত অবস্থান করেছেন, সেটা লিখুন। আর যদি অন্য ঠিকানা দিয়ে থাকেন, তাহলে সিরিয়াল অনুযায়ী একটা একটা করে লিখুন।
জন্ম তারিখ: বিপিএসসি ফরম-১ অথবা এস.এস.সি সার্টিফিকেট অনুসারে লিখুন।
জন্মস্থান: গ্রাম, ডাকঘর, উপজেলা / থানা, জেলা উল্লেখ করে জন্মস্থানের ঠিকানা লিখুন। জন্মনিবন্ধন সনদপত্রে আলাদা কিছু না থাকলে স্থায়ী ঠিকানাটাই লিখতে পারেন।
প্রার্থী পনেরো বছর বয়স থেকে বিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেছেন সেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম ও বছর উল্লেখপূর্বক শিক্ষাগত যোগ্যতা: প্রথম কলামে এস.এস.সি থেকে শুরু করে সর্বশেষ ডিগ্রি পর্যন্ত যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ডিগ্রি নিয়েছেন, সেগুলোর নাম লিখুন। দ্বিতীয় কলামে এস.এস.সি থেকে শুরু করে সর্বশেষ ডিগ্রি পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন নম্বর বা রোল নম্বর পর্যায়ক্রমে লিখুন। তৃতীয় কলামে এস.এস.সি থেকে শুরু করে সর্বশেষ ডিগ্রি পর্যন্ত সেশন পর্যায়ক্রমে লিখুন। চতুর্থ কলামে কলামে এস.এস.সি থেকে শুরু করে সর্বশেষ ডিগ্রি পর্যন্ত পাসের সাল লিখুন।
কোনো সরকারি বা আধা-সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত বা আধা-স্বায়ত্তশাসিত বা স্থানীয় সরকারের সংস্থাসহ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রার্থী পূর্বে চাকরি করে থাকলে বা বর্তমানে কর্মরত থাকলে সেটার পূর্ণ বিবরণ ও ঠিকানা এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে পরিত্যাগের কারণ: যাঁরা আবেদনের সময় চাকরির কথা উল্লেখ করেছিলেন, তাঁদের জন্য এই অংশ বেশি প্রয়োজন। তাঁরা যদি সেই চাকরিতেই থাকেন, তাহলে সেটার পূর্ণ বিবরণ ও ঠিকানা দিন। আর যদি না থাকেন, তাহলে কেন ছাড়লেন বা কেন কর্তৃপক্ষ ছাঁটাই করলো সেটার বিবরণ দিন। তবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অধীনে পূর্বে চাকরি করে থাকলে লিখিত নির্দেশনা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস জমা দিতে হবে। আর যাঁরা আবেদনের সময় চাকরির কথা উল্লেখ করেননি, কিন্তু বর্তমানে চাকরি করেন বা করেন না, তাঁদের এই অংশটা বিবেচনায় না নিলেও চলবে। আর যদি বিবেচনায় নেন, তাহলে চাকরির তথ্য উল্লেখ করুন ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস সংগ্রহ করুন।
প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধার পুত্র / কন্যা বা পুত্র / কন্যার পুত্র কন্যা কি না: হ্যাঁ/না লিখুন।
প্রার্থী প্রতিবন্ধী কি না: হ্যাঁ/না লিখুন।
প্রার্থী ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়ভুক্ত কি না: হ্যাঁ/না লিখুন।
ফৌজদারি, রাজনৈতিক বা অন্য কোনো মামলায় গ্রেফতার, অভিযুক্ত বা দণ্ডিত এবং নজরবন্দি বা বহিস্কার হয়েছেন কি না, হলে থাকলে তারিখসহ পূর্ণ বিবরণ: আপনার নামে যদি কোনো মামলা থাকে, মিথ্যা মামলা হোক আর সত্য মামলা হোক, তাহলে যেভাবেই হোক সেটা মীমাংসা করার চেষ্টা করুন। মামলা থাকলে পুলিশ ভেরিফিকেশনে ঝামেলায় পড়বেন।
প্রার্থীর নিকট আত্মীয়-স্বজনের (ভাই, ভগ্নি, আপন চাচা, শ্বশুর দিকের নিকট আত্মীয়) কেউ বাংলাদেশ সরকারের চাকরিতে নিযুক্ত থাকলে পদের নাম ও কর্মস্থান উল্লেখপূর্বক বিবরণ: প্রথম কলামে আত্মীয়-স্বজনের নাম, দ্বিতীয় কলামে পদের নাম, তৃতীয় কলামে কর্মস্থলের ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর লিখুন।
প্রার্থীর চরিত্র ও পূর্ণ পরিচয় সম্পর্কে সাক্ষ্য দিতে পারেন কিন্তু প্রার্থীর সাথে আত্মীয়তার সূত্রে আবদ্ধ নয় এমন দু'জন গণ্যমান্য ব্যক্তির নাম ও ঠিকানা: এখানে এমন কারো নাম দিবেন না, যিনি আপনার সম্পর্কে খারাপ জানেন অথবা আপনাকে চিনেন না। পুলিশ ফোন করলে যাতে নাম বলার সাথেই আপনাকে চেনেন এমন ব্যক্তির নাম দিন।
বিবাহিত বা অবিবাহিত (বিবাহিত হলে অথবা বিবাহের প্রস্তাব থাকলে যাঁকে বিবাহ করা হয়েছে অথবা বিবাহ করার প্রস্তাব রয়েছে তাঁর জাতীয়তা): বিবাহিত হলে বিবাহিত লিখুন। অবিবাহিত হলে অবিবাহিত লিখুন। অন্যথায় নির্দেশনা অনুযায়ী লিখুন। তবে ঝামেলায় না যাওয়াই ভালো।
প্রার্থীর স্বাক্ষর ও তারিখ: আবেদনের সময় যে রকম স্বাক্ষর দিয়েছেন, সে রকম স্বাক্ষর দিন। তারিখ লিখুন।
ভাইভার পূর্বে শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা বেশি প্রয়োজন। এ জন্য শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা নিশ্চিতকল্পে সচেষ্ট থাকুন
ঢাকা শহর যানযটের শহর। তীব্র যানযটের কথা মাথায় রেখেই যথেষ্ট সময় নিয়ে ভাইভার দিন পরীক্ষার কেন্দ্রের উদ্দেশ্যে রওনা দিন, যেন সময়ের কারণে কোনো বাড়তি চাপে পড়তে না হয়।
যে পোশাক পড়ে ভাইভা দিবেন, ভাইভার আগে একাধিকবার ট্রায়াল দিন। প্রয়োজন হলে ফর্মাল ড্রেস পড়ে বাইরে ঘুরে আসেন, ভালো লাগবে।
ভাইভার পূর্বে পড়াশোনা
নিজের নামের অর্থ, একই নামে কোনো বিখ্যাত ব্যক্তি থাকলে তাঁর সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন।
নিজের জন্ম-তারিখ যদি কোনো বিশেষ দিন হয়, ঐদিন সম্পর্কে, ঐ দিনে বিখ্যাত কারো জন্মবার্ষিক বা মৃত্যুবার্ষিক হলে তাঁর সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন।
নিজের গ্রাম, উপজেলা, জেলার নাম, নামের অর্থ, ইতিহাস, দর্শনীয় স্থান, আয়তন, জনর্সংখ্যা, কৃষি, অর্থনীতি ইত্যাদি জানুন।
নিজের এলাকার খেতাব প্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, বর্তমান সাংসদের নাম, উপজেলা চেয়ারম্যানের নাম, ইউএন ও এর নাম ও জেলা প্রশাসকের নাম সম্পর্কে জানুন।
আপনার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম, কারো নামে নামকরণ হলে তাঁর বিস্তারিত, প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস, প্রথম ভিসি, বিখ্যাত ভিসি, বর্তমান ভিসি, আপনি যখন পড়তেন তখনকার ভিসির নাম ।
আপনার ডিগ্রী নিয়ে বিস্তারিত | আপনার সাবজেক্ট নিয়ে আপনার বেসিক ভালো হওয়া চাই।
যদি কেউ শখ হিসেবে বই পড়া না বলেন তবে সরাসরি কথা সাহিত্য অথবা কবিতা বা ভ্রমণ যা হয় নির্দিষ্ট করে বলা ভালো। যে শখই বলেন সত্যিটা বলবেন কারণ এখান থেকে পরবর্তী কয়েকটা প্রশ্ন আপনাকে ফেস হতেই হবে। সমসাময়িক কিছু প্রশ্ন যা প্রার্থীর চিন্তা ভাবনা পরীক্ষা করা হয় : সব থেকে কমন প্রশ্ন আপনার প্রথম পছন্দের ক্যাডার নিয়ে। এর উত্তর যত ভালো হবে আপনার নম্বরও তত ভালো হবে। এক্ষেত্রে গতানুগতিক উত্তর না করে নিজের শক্তিশালী দিক এবং প্রথম ক্যাডারের সাথে কীভাবে সম্পর্ক করা যায় এবং তা কীভাবে ওই পেশা ও জনগণের সেবায় লাগে তা ফোকাস করুন। একটা অনুরোধ এই প্রশ্ন নিয়ে আপনারা প্রচুর সময় ব্যয় করুন।আপনি যদি ক্যাডার না হতে পারেন তবে কি করবেন? আপনাকে আমরা কেন সিলেক্ট করবো অর্থাৎ আপনার শক্তিশালী দিক?আপনার দুর্বল দিক (এই প্রশ্নটা সাবধানে করতে হবে যাতে সরাসরি আপনার দুর্বলতা আপনার শক্তিশালী দিকের বিরুদ্ধে না যায়। এমন দুর্বলতা বের করুন যার পজিটিভ দিক দেশের জন্য বা আপনার প্রথম পছন্দের ক্যাডারের জন্য বহন করে)। আপনার সম্পর্কে কিছু বলুন (নিজে নিজের মতো উত্তর তৈরী করুন)। আপনার পঠিত বিষয় নিয়ে বলতে পারে, এটা আপনার পছন্দ কেন? আপনি অন্য কোন সাবজেক্ট পেলে পড়তেন কিনা? নিজের টেকনিক্যাল/ প্রফেশনাল ক্যাডার ছেড়ে কেন জেনারেলে আসতে চান? আপনার প্রথম পছন্দের সাথে আপনার সাবজেক্টের সম্পর্ক।
সহপাঠ্য ক্রমিক যোগ্যতা
চাকুরিরত হলে নিজের চাকুরি, সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন।
বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক মানচিত্র ভালোভাবে জানুন।
যে পত্রিকা পড়েন সেটি সমপর্কে জানুন।
ভাইভা পরীক্ষার দিনের পত্রিকার শিরোনাম।
বিখ্যাত তারিখ সম্পর্কে জানুন। যেমন - ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ৩ মার্চ, ৭ মার্চ, ১০ এপ্রিল, ১৭ এপ্রিল, ১৬ ডিসেম্বর ইত্যাদি
বিসিএস ভাইভা হলে:
ক্যাডার চয়েজ লিস্ট জানুন
প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় ক্যাডার সম্পর্কে জানুন।
পছন্দের ক্যাডারের মন্ত্রণালয় সম্পর্কে জানুন।
সংবিধানের গুরুত্বপূর্ণ অনুচ্ছেদ, সংশোধনী ভালোভাবে জানুন।